ন্যায়-অন্যায়
– রাণা চ্যাটার্জী
ন্যায় অন্যায়ের মাঝে ঝুলন্ত, দোদুল্যমান দিন যাপনে ভর করা আধুনিক গতিময়তা।
অদ্ভুত নিয়ম নীতির অক্টোপাস সমাজ বাঁধন সত্ত্বেও ভিন্ন জনের ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম বেড়াজালে অভ্যস্ত দ্বিপদ মনুষ্য আমরা ।
হাজার দোষ করে পার পাওয়া পেশী শক্তির
জয়ধ্বনি দেওয়া মানুষ, বিচার করে অসুস্থ মায়ের খিদের জন্য পাঁউরুটি চুরি করা
দোকানী শিশু শ্রমিকের অন্যায়ের।
বড়ো গহির্ত, ছি ছি বলে সমাজসংস্কারকগণ, ছিঁচকে চোরকে দেয় গণধোলাই শিক্ষা।
গায়ে গরম জল ঢেলে প্রভু ভক্ত সারমেয়র
পিঠের ছাল ওঠা দগ দগে ঘা আসলে পচনশীল সমাজ ও মানসিকতারই প্রতিচ্ছবি ।
আত্মসাৎ হয়ে যায় ব্যাঙ্ক লকার, ট্রেজারি, গ্রাচুয়েটি, পেনশনে তিল তিল জমানো টাকা।
অবসর নেওয়া বৃদ্ধার হাপিত্যেশে ভারী বাতাস,
মূল্যবৃদ্ধির উর্ধমুখীতা,সবেধন সঞ্চয়ের ক্রম হ্রাসমান সুদে সংসার চালাতে হিমশিমে মুখ লুকায়।
প্রোমোটারের করাল ছায়ায় চুরি হয় কুমারী রোদ্দুর ।
এক চিলতে প্রকৃতি দেখার হাতছানি প্রাণ পায় সপ্তাহান্তিক ভ্রমণে।
ভিড় ট্রেনে মুখোশধারী ভদ্রকাকুর ছুঁক ছুঁক,
কিশোরী, বৃদ্ধার শরীর ছোঁয়ার বাহানা খোঁজে!
ছোট্টো বাচ্ছাও সুরক্ষিত নয় ন্যায় অন্যায়ের
গিরিখাদে আটকে থাকা অদ্ভুত সমাজে।
তবু ভোর হয়, হলুদ বৃষ্টির আনাগোনা,
সূর্য্যের দাবদাহে ভস্মীভূত সকাল।
বেঁচে থাকে দূষিত ধূলিকণার মতো কলুষিত
মানুষগুলো বহাল তবিয়তে ।